ফের বিজেপি কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে : উত্তেজনা

27th September 2021 3:16 pm বাঁকুড়া
ফের বিজেপি কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে : উত্তেজনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ফের বিজেপি কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃনমূলের বিরুদ্ধে। আজ সকালে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের পখন্না গ্রামে সহদেব ধাড়া নামের এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করে হাত পা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম ওই বিজেপি কর্মীকে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গতকাল রাতে পখন্না গ্রামে ঠাকুর বিসর্জন নিয়ে শোভাযাত্রা চলছিল। সেই সময় এক বাইক আরোহী তৃনমূল কর্মীর সঙ্গে সহদেব ধাড়া নামের ওই বিজেপি কর্মীর বচসা হয়। অভিযোগ আজ সকালে নিজের বাইক নিয়ে গ্রামের পাশে থাকা একটি ধান জমিতে সহদেব ধাড়া কীটনাশক স্প্রে করতে গেলে প্রায় চল্লিশ জন তৃনমূল কর্মী তাঁর উপর হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করে সহদেব ধাড়ার হাত পা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে দুস্কৃতিরা সহদেব ধাড়ার বাইকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় । পরে আহত সহদেব ধাড়াকে উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আহত সহদেব ধাড়ার অভিযোগ বিজেপি করার জন্যই তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে তৃনমূল। তৃনমূলের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনো বিষয় যুক্ত নয়। সহদেব ধাড়া এক ব্যাক্তিকে প্রথমে মারধর করেছিলেন। তা নিয়েই গন্ডগোল। বিজেপির দাবি নির্বাচন পরবর্তী অশান্তি অব্যাহত বড়জোড়ায়। এই ঘটনা তারই রেশ। 


 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।